নিজেদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না পাওয়া গেলে Panchayat Election অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আমরা সকলেই অতীতের কিছু প্রতিবাদ দেখেছি। কখনো পেন ডাউন কর্মসূচী, টানা দুই দিনের কর্মবিরতি এবং মার্চ মাসে এক দিনের ধর্মঘট। এছাড়াও কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র ধর্মতলার শহীদ মিনার চত্বরে ধর্না প্রদর্শন চলছে এবং এটা যতদিন না নিজেদের বকেয়া পাওয়া যাচ্ছে ততদিন চলবে বলে জানানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু এবার আসন্ন ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব সামলানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
Panchayat Election এর আগে সরকারি কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে নির্দেশ আসলেই Panchayat Election নিয়ে নিজেদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ – ৪০ দিনের মধ্যেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হবে। এর কিছুদিন আগে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন। বর্তমানে সমগ্র রাজ্য জুড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ভোট ও পরীক্ষা একই সঙ্গে চালানো সম্ভব নয়।
এই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে Panchayat Election ২০২৩ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে সরকারের তরফে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এই বিজ্ঞপ্তিতে সকল কর্মচারীদের সমগ্র রাজ্যে পোলিং বুথ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে ও ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে হয়েছে। এছাড়াও জেলাশাসক নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে কাজ করবেন এবং জেলা নির্বাচনীক আধিকারিক প্রিসাইডিং অফিসারকে নিয়োগ করবে।
DA Case – রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরও অপেক্ষা করতে হবে, কিন্তু কেন দেখুন।
Panchayat Election এর জন্য সরকারি কর্মীদের কি করতে হবে?
Panchayat Election এর কাজের জন্য শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, পৌরসভার কর্মচারী, বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের এই ভোট গ্রহণের কাজের জন্য নিয়োগ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। সঠিক ও যোগ্য ভোট কর্মীদের চয়ন করা হবে এবং তাদের মহকুমা ও ব্লক স্তরে দুইবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে যে Panchayat Election বয়কটের জন্য যারা ডাক দিয়েছিলেন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে চলেছে এবং সেই সকল আন্দোলনকারীরা যদি এই কাজে নিযুক্ত না হন তাহলে সরকারের তরফে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১১ ই মার্চ যেই সকল কর্মীরা ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন তাদের মাইনে কাটার জন্য নির্দেশিকা প্রকাশিত করা হয়েছিল সরকারের তরফে। কিন্তু এবারে Panchayat Election এর ক্ষেত্রে কি হতে চলেছে সেই নিয়ে চিন্তায় সকলে।
যৌথ মঞ্চের তরফে আগামী ৩০ শে মার্চ বকেয়া ডিএ নিয়ে এক বিশাল কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই দিন গণ ছুটি নিয়ে শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে মিছিল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই মিছিল ধর্মতলায় শহিদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু Panchayat Election এর দায়িত্ব নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
আগামী ২৬ তারিখ রাষ্ট্রপতিকে ইমেল পাঠিয়ে এই বঞ্চনার কথা জানানো হবে এবং ২৭ তারিখ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও এই একই ইমেল পাঠানো হবে। ১০ ও ১১ ই এপ্রিল দিল্লীতে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসা হবে। এই সকল দিনে যদি রাজ্য অচল হয়ে পরে সেই দায় কর্মীদের নয় বলে জানানো হয়েছে। এবার দেখার অপেক্ষা Panchayat Election নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।