সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতরের তরফে Primary School Closed অর্থাৎ রাজ্যে ৮ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক সহ জুনিয়ার সেকেন্ডারি ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে রাজ্যের বক্তব্য – এই সকল স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ এর কম। এছাড়াও এই সকল স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যাও কম।
Primary School Closed রাজ্যে ৮ হাজার স্কুল বন্ধ হতে চলেছে।
এই চূড়ান্ত ভরাডুবির জন্য বিশেষজ্ঞ মহল রাজ্য সরকারকেই দায়ি করছেন। তাদের বক্তব্য ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে ৩০ জন পড়ুয়া নেই!!! শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি এর ফলে কম শিক্ষকের সংখ্যা, উৎসশ্রী পোর্টালেও ঘুস দিয়ে গ্রামের শিক্ষকেরা শহরে ট্রান্সফার নিয়ে নেওয়ার জন্যও ঠিক মতো ক্লাস না হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। এই Primary School Closed সমস্যা সমাধানের জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি এক শুনানিতে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেছেন – “সব শিক্ষকরাই গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসলে গ্রামের স্কুল গুলিতে কারা পড়াশুনা করাবে”। রাজ্য সরকারকে এই শিক্ষকদের বদলির নীতি নিয়ে চিন্তা করতে বলেছেন যাতে Primary School Closed করার মতো পরিস্থিতি না আসে। বর্তমানে এই উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সকল বদলি বন্ধ আছে।
এবারে আসল প্রশ্নে আসা যাক, যেই ৮ হাজার বিদ্যালয় (Primary School Closed) বন্ধ হতে চলেছে সেই স্কুল গুলিতে চাকুরীরত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে? কিছু তথ্য অনুসারে এই স্কুলগুলিতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষক কর্মীরা কাজ করছেন। এনাদের সম্ভাবত আশেপাশের বিদ্যালয় গুলিতে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।
Primary School Closed নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে প্রশ্ন করা হলে, তাদের থেকে কোন সদর্থক উত্তর পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনিপুর, ঝাড়গ্রাম ও সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য রাজ্যের রাজধানী কলকাতাতেও পড়ুয়ার অভাবে স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে। এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Primary School Closed নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।