পশ্চিমবঙ্গের Primary Teacher অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেল। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের টেট উত্তীর্ণ সকলে যারা এখন বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি প্রাপ্তরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এবারে ইন্টারভিউতে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ফের সকল পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Primary Teacher দের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা।
TET – Teacher Eligibility Test যেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্তর্গত সকল সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এই টেট পরীক্ষার অনিয়ম নিয়েই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে এবং যতদিন এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন অনিয়ম সকলের নজরে আসছে। সম্প্রতি Primary Teacher দের Aptitude Test নিয়ে নতুন বিতর্ক চালু হয়েছে।
Swami Vivekananda Scholarship 2023 – নতুন করে আবেদনের সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিন।
Aptitude Test হল চাকরির ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় সকল চাকরিপ্রার্থীদের তাৎক্ষণিক কর্মক্ষমতা, বাচ্চাদের শ্রেণী কক্ষে শিক্ষাদানের দক্ষতা বোঝা হয় এবং এর ওপর ভিত্তি করে সকলকে নম্বর প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগে এই টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতে। ৪৩,০০০ চাকরিপ্রার্থীদের এইভাবেই নিয়োগ করা হয়েছে কিনা এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
কলকাতা হাইকোর্টের ন্যায়াধীশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মর্মে ২০১৬ সালে চাকরি প্রাপ্ত বেশকিছু শিক্ষকদের আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি কোর্টে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি সরাসরি এই বিষয় নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও WBBPE – West Bengal Board Of Primary Education অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও আধিকারিরা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে Primary Teacher দের নিয়ে আর বিতর্কের শেষ হচ্ছে না। কিন্তু বেশিরভাগ আন্দোলনকারীদের দাবি ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল ধরে বাতিল করে দেওয়া হোক এবং নতুন করে আদালতের তত্ত্বাবধানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ১১ ই ডিসেম্বর ২০২২ সালে ফের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীরা এখন অপেক্ষায় বসে আছেন যে কবে রেজাল্ট বের হবে ও নিয়োগ চালু করা হবে।
“দেরি হবে” উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত, সংসদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
কিন্তু তার মধ্যে এই নতুন সমস্যা নিয়ে চিন্তায় অনেকে। এবার দেখার অপেক্ষা হাইকোর্ট কি রায় প্রদান করে। এই নিয়ে আপনাদের বক্তব্য নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে আমাদের জানাতে পারেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবস ক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই খবরের আরও আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।