এবার ৫০০ টাকার নোটের (Indian Currency) বিষয়ে দেশবাসীর জন্য নতুন নিয়ম নিয়ে এলো রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India). নতুন এই নিয়মে কোন ধরনের ৫০০ টাকার নোট (500 Rupees Note) অচল সেটিই আরো ভালোভাবে জানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর, নতুন এই নিয়মের ফলে গ্রাহকদের অনেক বেশি সুবিধা হতে চলেছে। মূলত বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন মূল্যের কাগজের নোট প্রচলিত রয়েছে আমাদের দেশে।
RBI Guidelines on Indian Currency 500 Rupees Note.
তাই এই সমস্ত নোট ছিঁড়ে যাওয়া বা নোংরা হয়ে যাওয়া কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। অনেক সময় লেনদেনের সময় অথবা বাচ্চাদের হাতে পড়েও নোট ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে আরবিআই এর নিয়ম (RBI Rules on Indian Currency) অনুযায়ী কারো কাছে এই সমস্ত ছেঁড়া বা নোংরা নোট থেকে থাকলে তা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই ধরনের নোট বদলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে আরবিআই তথা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়মে।
ভারতীয় ৫০০ টাকার নোট
২০২৩ সালে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupees Note) নিষিদ্ধ হয়ে যাবার পর থেকে এই মুহূর্তে ৫০০ টাকার নোটই হলো আমাদের দেশের প্রচলিত সবচেয়ে বড়ো নোট। তাই এই ৫০০ টাকার নোট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক নতুন নিয়ম জারি করেছে। মূলত আমাদের দেশে প্রচলিত ৫০০ টাকা নোটের দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টি মিটার, প্রস্থ ৬.৬ সেন্টিমিটার এবং ক্ষেত্রফল ৯৯ বর্গ সেন্টিমিটার।
অনেক সময় এই ৫০০ টাকার নোটকে নকল করে জালিয়াতি (Banking Fraud) করা হয়ে থাকে। তাই এবার রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে ৫০০ টাকার নোটটি (Indian Currency Notes) আসল না নকল সে বিষয়ে জানার জন্য বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য সামনে আনা হয়েছে। আর এই সকল তথ্য জেনে নিলে সকল গ্রাহকদের আর কোন ধরনের সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
৫০০ টাকার নোট চেনার উপায়
1) সিকিউরিটি থ্রেড – নোটে এমবেড করা, সিকিউরিটি থ্রেডটি লম্বাভাবে থাকে। নোটটি আসল হলে, এটি স্পর্শ করার সময়, নোটটি সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হবে (Indian Currency).
2) জল ছাপ – মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি থাকবে নোটে। নোটটি আলোতে ধরলে ছবিটি দৃশ্যমান হবে।
3) মাইক্রো প্রিন্টিং – নোটে ছোট করে দেবনাগরী বা হিন্দি অক্ষরে ‘ভারত’ দেখা থাকবে। তবে, এটি দেখতে একটা ম্যাগনিফাইং গ্লাস লাগতে পারে।
অনেক সময় ৫০০ টাকার নোট ছিঁড়ে যায়। আর এই ছিঁড়ে (Leave a Indian Currency Note) যাওয়া ৫০০ টাকার নোট নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন গ্রাহকরা। তারা ভাবেন যে তাদের সেই নোট গুলো বোধ হয় অযোগ্য হয়ে গেল। আর বি আই এর নিয়ম অনুযায়ী, যে সব ৫০০ টাকার নোট অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। আর কোন নোট অযোগ্য সেই সম্পর্কে আপনারা কিভাবে জানবেন দেখুন।
Indian Currency 500 Rupees Ineligible Note
1) যেই নোটের ধার থেকে শুরু করে মাঝখান পর্যন্ত ছেঁড়া থাকবে।
2) যদি কোনো নোটে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা লেগে থাকে।
3) যদি কোনো নোট অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে নষ্ট হয়ে যায়।
4) যদি কোনো নোটের গ্রাফিক্স পরিবর্তন হয়ে যায়।
5) কোনো নোটের (Indian Currency) রঙ নষ্ট হয়ে যায়।
তবে, আরবিআই এর নিয়ম অনুযায়ী ভারতে ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্থ ৫০০ টাকার নোট বদলানো খবই সহজ। এর জন্য গ্রাহক যে কোনো ব্যাংকের শাখায় যেতে পারেন। এমনকি যদি তিনি সেখানে একজন গ্রাহক না হন, তাহলেও সম্ভব। এক্ষেত্রে গ্রাহককে শুধু তার আইডি প্রুফ হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি, ইত্যাদি এবং ক্ষতিগ্রস্ত নোট সঙ্গে রাখতে হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ৫০০০ টাকার কম পরিমাণ নোট তৎক্ষণাৎ বিনিময় করা যায়। এর বেশি পরিমাণ নোট থাকলে, ৩০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের একাউন্টে সমতুল্য মূল্য জমা হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য কোনও ফর্ম পূরণ করতে হয় না। তবে, অত্যন্ত জীর্ণ বা ছেঁড়া নোট (Leave a Indian Currency) গুলোর বিনিময়ের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের অফিসে গিয়েও জমা দিতে হতে পারেন গ্রাহকেরা।
সর্বোপরি, আরবিআই এর নির্দেশ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যাংক ছেঁড়া নোট (Indian Currency) পরিবর্তন করতে না যায় সেক্ষেত্রে ব্যাংকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে আরবিআই। তাই জীর্ণ ৫০০ টাকার নোট নিয়ে আর চিন্তা করার আর কোনো কারণ নেই গ্রাহকদের। আর এবারে এই সম্পর্কে আপনাদের কোন মত থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Sampriti Bose.