বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস সম্পন্ন করতে লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর ছুটির (School Reopen) মাঝে অন্তত একসপ্তাহ স্কুল খোলা রেখে পড়ুয়াদের ক্লাস করানোর প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা বেশ কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। মূলত চলতি বছরের বেশ কিছু সময় বিভিন্ন কারণে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল গুলি বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের পঠন পাঠন ব্যাহত হওয়ায় সিলেবাস শেষ করতে বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষকেরা উক্ত প্রস্তাব রাখছেন বলে জানা গিয়েছে।
School Reopen Update During Festive Season.
চলতি বছরের প্রথমে দীর্ঘ দুই মাস গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহের কারণে বর্ধিত লম্বা ছুটির পরেই পশ্চিমবঙ্গের তেইশে পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ অন্যান্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবের জন্য বহু দিন বন্ধ ছিল রাজ্যের স্কুল গুলি। এবার বাঙালির প্রাণের ও শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব এর জন্য ফের একবার একটানা দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ (School Reopen) থাকতে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এমতাবস্থায় সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে সে রকম ক্লাস না হওয়ায় এক রকম অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম। বিশেষত বিদ্যালয় গুলিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস শেষ করা যায়নি কমসংখ্যক দিন পঠন পাঠন চলার কারণে। তাই পুজোর ছুটির (School Reopen) মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের খ্যাতনামা বেশ কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
কলকাতার হিন্দু স্কুল সহ একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচি এখনো শেষ করা সম্ভবপর হয়নি কম সংখ্যক ক্লাসের কারণে। ওই শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করার জন্য লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর ছুটির (School Reopen) মাঝে এক সপ্তাহ মতো স্কুল খোলা রেখে পড়ুয়াদের ক্লাস করাতে চান তারা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে পুজো দেরিতে হওয়ায় পুজোর ছুটির পর ১৬ নভেম্বর খুলতে চলেছে রাজ্যের বিদ্যালয় ও অন্যান্য সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। পর্ষদের নির্দেশ মতো স্কুল খুললেই পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর তৃতীয় সামেটিভ মূল্যায়ন (School Reopen) এবং দশম ও দ্বাদশের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই অর্থাৎ স্কুল খোলার পর খুব শীঘ্রই পরীক্ষা পর্ব শুরু হতে চলেছে।
কিন্তু, পুজোর ছুটির পরে স্কুল খোলার সাথে সাথেই পড়ুয়ারা বার্ষিক পরীক্ষার জন্য কতটা প্রস্তুত থাকবে তা ভাবাচ্ছে শিক্ষকদের। এমনকি বহু পড়ুয়া রয়েছে যারা অর্থের অভাবে গৃহশিক্ষক নিতে না পারায় পড়াশোনার সিলেবাস শেষ হওয়ার জন্য স্কুলের ওপর নির্ভর করে থাকে, তাদের কথাও ভাবছেন শিক্ষকেরা। তাই পুজোর ছুটির (School Reopen) মাঝখানে কিছুদিনের জন্য স্কুল খোলা রাখার আর্জি জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা।
তবে পুজোর ছুটির মাঝখানে জরুরি ভিত্তিতে হঠাৎ স্কুল খোলার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সরকারি কোনো নোটিশ জারি করা প্রয়োজন। কারণ কোনো নোটিশ (School Reopen) ছাড়া কয়েকটি স্কুল এই দাবি মানলেও রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল ও শিক্ষক শিক্ষিকারাই এই সিদ্ধান্ত মানবেন না। কেননা সরকারের পুজোর ছুটি ঘোষণার পরে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাই নির্দিষ্ট দিনের জন্য বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে ফেলেছেন।
Free Ration – বিনামূল্যে রেশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকদের জন্য, পুরো নামের তালিকা দেখে নিন।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, পুজোর ছুটির মাঝখানে স্কুল খোলা রাখা নিয়ে এখনো কোনও আপডেট জানায়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে, রাজ্যের পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু শিক্ষকদের থেকে আসা এই দাবিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (School Reopen) তরফে মেনে নেওয়া হবে বলেই আশাবাদী শিক্ষকেরা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফে এইনিয়ে কোন ধরণের আধিকারিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। দুর্গাপুজোর পরে এই নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Primary TET Exam – এবারের টেট পরীক্ষার্থীদের জরুরী ঘোষণা। যারা আবেদন করেছেন অবশ্যই