বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন (Gold Bond Return). আর সেই জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা সোনা কিনে থাকেন। তোর সোনা কেনার থেকেও গোল্ড বন্ড (SGB Gold Bond) কিনলে তাতে প্রচুর লাভ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই এই সুযোগে সার্বভৌম গোল্ড বন্ড (Sovereign Gold Bond) কিনে রেখে দিচ্ছেন। কারণ যখন দাম চড়া হবে এই গুলি বিক্রয় করবেন তারা এবং ডবল লাভ পাবেন।
Sovereign Gold Bond Return
তাছাড়া গহনার সোনা কেনার চেয়ে গোল্ড বন্ড কেন বেশি লাভজনক। আপনার নিকটবর্তী সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখাতে পেয়ে কিনে নিতে পারেন গোল্ড বন্ড (Gold Bond Return). আর এই জিনিস সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত হয়তো অনেকেই জানেন না। কিন্তু সোনার গয়না কিনে ব্যাঙ্কের লকারে ফেলে রাখার থেকে সকলের উচিত যে গোল্ড বন্ডে যতটা বেশি পরিমাণে হোক তাদের বিনিয়োগ করা।
সার্বভৌম গোল্ড বন্ড বিনিয়োগ
যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ভবিষ্যতে ভালো পরিমাণ টাকা রিটার্ন পাবেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার পর সোনার ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক অনেকটা হ্রাস পেয়েছে (Gold Bond Return). আগের থেকে কিছুটা কমেছে সোনার দাম। এরই মধ্যে সরকারের তরফ থেকে সভেরিন গোল্ড বন্ডের কিছুটা অংশের চূড়ান্ত খালাস মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি গ্রামে ৬৯৩৮ টাকা।
সোনার দাম কিছুটা কমলো
২৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত এই চূড়ান্ত গড় মূল্যের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই ট্রাঞ্চটি প্রকাশ করা হয়েছিল ৫ আগস্ট ২০১৬ সালে। সেই সময় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৩১১৯ টাকা দামে সোনা (Gold Bond Return) বাজারে এনেছিল। মূলত সোনার গহনা বেশ কয়েক প্রকারের হয়। ২৪ ক্যারেট পাকা সোনা গলিয়ে তার সাথে খাদ মিশিয়ে ২২ ক্যারেট করা হয়।
এরপর সেটি গহনা তৈরির কাজে ব্যবহার হয়। গহনা করতে তাতে খাদ ও বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং এতে সোনার পরিমান আরও কিছুটা কমে যায়। এছাড়া গহনা সোনায় ট্যাক্সের সাথে জিএসটিও যোগ হয়। এই দিকে সোনার গহনায় (Gold Bond Return) মুজুরির জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এরপর সেই সোনা কয়েক বছর পর বিক্রয় করতে গেলে খাদ টুকু বাদ যায়। কোনও কোনও দোকানে ৩০% পর্যন্ত ওজনে কম দেয়।
এই দিকে মুজুরির টাকা ও জিএসটির টাকাও ফেরত পাওয়া যায় না অর্থাৎ ‘লস ই লস’। কিন্তু গোল্ড বন্ড কিনলে এই সব ঝামেলা নেই। যে পরিমান সোনা কিনবেন সেই পরিমান সোনার সেই দিনের বাজার মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন। গোল্ড বন্ডের মধ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরবিআই সভেরিন গোল্ড বন্ড (Gold Bond Return) ইস্যু করে। অপর দিকে, সভেরিন গোল্ড বন্ড হল আরবিআই মারফত জারি করা একটি সম্পত্তির উদাহরণ।
এটি পাকা সোনার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্থ ব্যাংক গুলি এক বছরে বেশ কয়েকবার এই গোল্ড বন্ড ইস্যু করে। এই বন্ড ছাড়ার পর যে কোন গ্রাহক তা ক্রয় করতে পারেন ব্যাংকের কাছ থেকে অথবা কিনে বিক্রয় করতে পারেন বাজারে। এই গোল্ড বন্ড গুলি ইস্যু (Gold Bond Return) হওয়ার সময় আরবিআই এর দাম বেঁধে দেয়। সেই দামের এক টাকাও বেশি বা কমে এই সম্পত্তি দেওয়া হয় না।
অনেকেই পাকা সোনার চেয়ে এই গোল্ড বন্ড গুলি বেশি কিনে থাকেন। কারণ এতে লাভ বেশি। আর এর মাধ্যমে এতদিন অনেকেই ভালো পরিমাণ টাকা লাভ করেছে। এই বন্ড খালাস করার জন্য বিনিয়োগকারীরা কুপন পেমেন্টের তারিখের ৩০ দিন আগে ব্যাঙ্ক, স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা SHCIL অফিস, পোস্ট অফিস এজেন্টর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিনিয়োগকারীর অনুরোধ গৃহীত হওয়ার পর নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অকাল প্রত্যাহার SGB Gold Bond Return-র উপর কর প্রদান করতে হয় দুটি উপায়ে। সেই দুটি হলো বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত মূলধন সুবিধা এবং অর্ধবার্ষিক সুদের আয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ভারতীয় আয়কর আইন অনুসারে কর যোগ্য হবে।
ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রেখে কোটিপতি হবেন। কোন ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করবেন?
তবে বন্ড স্থানান্তর করার সময় যে কোনো ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের উপর সূচকের মুনাফা দেওয়া হবে। এই বন্ডে টিডিএস প্রযোজ্য না হওয়ায় সেটি গ্রাহকদের জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দেয়। তাই, এখন থেকে আর ফিক্সড ডিপোজিট না করে গোল্ড বন্ড (Gold Bond Return) কিনেই অধিক পরিমাণ লাভ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।Written by Sampriti Bose