এবার ভুয়ো সিম কার্ড (SIM Swap Fraud) ব্যবহার করে মিসড কলের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন প্রতারকরা। সম্প্রতি, সিম সোয়াপ কেলেঙ্কারির মতো একাধিক ঘটনা ঘটছে দেশে। আর, তাতেই এবার জনগণকে সচেতন করলেন পুলিশ প্রশাসন। মূলত সিম সোয়াপিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে স্ক্যামাররা গ্রাহকের সিম কার্ডের একটি ডুপ্লিকেট সিম তৈরি করে এবং এটির উপর তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তৈরি করে।
SIM Swap Fraud Alert In India.
এতে প্রথমেই গ্রাহকের ডিজিটাল পরিচয় চুরি হয়ে যায়। এরপর, একবার ডিজিটাল পরিচয় পাওয়ার পরে, স্ক্যামাররা (SIM Swap Fraud) প্রথমে গ্রাহকের বন্ধু এবং পরিবারের কাছে পৌঁছায় এবং তারপরে তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। আর, এর মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব প্রোফাইল পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে করে নেয় স্ক্যামাররা।
সিম সোয়াপ কেলেঙ্কারিতে (SIM Swap Fraud) প্রতারকরা প্রথমে ফিশিং বা ফিশিংয়ের সাহায্যে ফোন নম্বর, ব্যাংক একাউন্টের বিবরণের মতো ব্যক্তিগত বিবরণ খুঁজে বের করে নেয়। তবে, পুলিশ কর্মকর্তাদের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্ক্যামাররা সাধারণত টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে, অতএব, তারা ম্যালওয়্যার বা ফিশিং আক্রমণের উপরে প্রাপ্ত বিবরণ দিয়ে সহজেই সিমটি কপি করে নিতে সক্ষম হয়।
এবার একবার ডুপ্লিকেট সিম (SIM Swap Fraud) পেয়ে গেলে তারা সহজেই যে কোনো ব্যাংক মেসেজ বা ওটিপি পেয়ে যেতে পারেন বলেই দাবি করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সম্প্রতি দিল্লিতে এক আইনজীবী অজ্ঞাত নম্বর থেকে তিনটি মিসড কল পেয়ে ‘সিম সোয়াপ কেলেঙ্কারির’ শিকার হন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, তখন এক বেসরকারী স্কুল শিক্ষক তিন ঘন্টারও কম সময়ে আটটি লেনদেনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। প্রতারণার শিকার হওয়া ওই শিক্ষক জানান, তিনি কারও সঙ্গে কোনও কল, টেক্সট বা ব্যাঙ্ক ওটিপি শেয়ার করেননি। তিনি কেবল মিসড কল পেয়েছিলেন এবং পরে তার একাউন্ট (SIM Swap Fraud) থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছিল। তবে, এবার এর থেকে মুক্তির জন্য বেশ কয়েকটি উপায় জানাচ্ছেন পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা। সেই উপায় গুলি নিম্নরূপ।
1) কোন অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না গ্রাহকেরা।
2) বেশ কয়েকটি মিসড কল পাওয়ার পরে ফোন বন্ধ করা উচিত নয়। উল্টে, ফোনে এ ধরনের কোনো কার্যকলাপ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল অপারেটরের কাছে খবর নিতে হবে।
3) মাঝে মধ্যেই ব্যাঙ্ক একাউন্টের (SIM Swap Fraud) পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
4) ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য এসএমএসের পাশাপাশি ই মেইল অ্যালার্ট চালু রাখতে হবে।
উক্ত কাজগুলি সঠিকভাবে করলে সিম সোয়াপ কেলেঙ্কারির (SIM Swap Fraud) মতো ঘটনা থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন পুলিশকর্তারা। এছাড়াও সকল নাগরিকদের এই সম্পর্কে আরও সচেতন থাকার দরকার বলে আগেই জানিয়েছেন সকল পুলিশ কর্তারা। এবারে এই ধরণের জালিয়াতি থেকে সতর্ক থাকবেন নইলে এরপর আপনার পালা।
Written by সম্প্রীতি বোস।
Ration items List – নভেম্বর মাসে কোন রেশন কার্ডে কি কি রেশন মিলবে? দেখে নিন সম্পুর্ন