রাজ্যের অসংখ্য পড়ুয়াদের জন্য এসে গেল নয়া তথ্য। এবার সামনে এলো SVMCM Scholarship বা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। আবেদন জানাতে পারবেন সকলেই। মূলত স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ হলো রাজ্য সরকার তরফে দেওয়া পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়ো স্কলারশিপ (Scholarship). রাজ্যের দুস্থ ও মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) তরফে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
SVMCM Scholarship 2024 Payment And New Apply Update.
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (WB CM Mamata Banerjee) নেতৃত্বে এই SVMCM Scholarship শুভ সূচনা হয়। এই স্কলারশিপের নাম হল স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের (Swami Vivekananda Scholarship 2024) আরেকটি নাম হলো বিকাশ ভবন স্কলারশিপ (Bikas Bhavan Scholarship). তাই এই দুটি স্কলারশিপের মধ্যে কেউ ভিন্ন চোখে দেখবেন না। দুটিই একই স্কলারশিপের ভিন্ন নাম।
এই SVMCM Scholarship অধীনে কোর্স অনুযায়ী বার্ষিক সর্বনিম্ন ১২০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৬০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি যেহেতু রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৃত্তি, তাই এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। আর সকল ধরণের নিয়ম জেনে নিয়ে তবেই আপনারা এই স্কলারশিপে আবেদন জানাতে পারবেন।
SVMCM Scholarship Online Apply Criteria
1) মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণরা নতুন কোর্সে বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে এই SVMCM Scholarship জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
2) ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় পাসরা স্নাতক কোর্সে ভর্তি হলে যোগ্য।
3) ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পলিটেকনিক বা প্যারামেডিক্যাল ডিগ্রিধারীরা পরবর্তী কোর্স পাঠরত হলে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
4) ৫৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক পাসরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
5) ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করা ব্যক্তিরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।6) স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তি নিলে, স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা গবেষণা স্তরে ভর্তি হলে।
7) কন্যাশ্রী প্রকল্পে (Kanyashree Prakalpa) নাম নথিভুক্তকারীরা Valid k-2 Id থাকলে আবেদনের যোগ্য।
8) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে।
9) গবেষণা স্তরের প্রার্থীরা বাইরের রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
10) অন্যান্য কোর্সের বেলায় আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত হতে হবে।
SVMCM Scholarship Online Apply Documents
1) পরিচয়পত্র অর্থাৎ আধার কার্ড (Aadhaar Card) ভোটার কার্ড (Voter ID Card).
2) মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার মার্কশীট।
3) শেষ বার্ষিক পরীক্ষার মার্কশীট।
4) নতুন কোর্সে ভর্তির রিসিভ কপি।
5) স্থানীয় বাসিন্দার প্রমাণপত্র।
6) পাসপোর্ট সাইজের কালার ছবি।
7) ব্যাংক একাউন্ট ডিটেইলস।
8) এসডিও বা বিডিও কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র।
উল্লেখ্য যে সকল পড়ুয়ারা প্রথম বছর এই SVMCM Scholarship পেয়েছেন, পরের বর্ষ গুলিতে বৃত্তি পাওয়ার জন্য তাদের নতুন করে আর রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে না। পুরোনো দরখাস্ত আইডি ও পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে পরবর্তী কোর্সে বৃত্তি পাওয়ার জন্য কেবল SVMCM Scholarship Renewal করলেই হবে। সর্বোচ্চ এক বছর গ্যাপ ইয়ার থাকলেও এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের ছেলে মেয়েদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দিচ্ছে সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন?
তবে সেক্ষেত্রে বছর গ্যাপ দেওয়ার উপযুক্ত কারণ প্রমাণস্বরূপ যেমন কোনো কোর্স করা কিংবা প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ইত্যাদি দেখাতে হবে হবে। একাধিক গ্যাপ ইয়ার এর ক্ষেত্রে প্রার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন যোগ্য নন। আবেদন পত্র সঠিকভাবে জমা না করায় কিংবা ছোটো কোনো ত্রুটি অনেক সময়ই আবেদন বাতিলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে পড়ুয়াদের এই SVMCM Scholarship এর জন্য আবেদন করা উচিত।
Written by Sampriti Bose.