লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) পর এই Swasthya Sathi বা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম। আর এই Swasthya Sathi প্রকল্পের মাধ্যমে সকল গ্রাহকেরা বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে যাবেন। আর বর্তমানে এই প্রকল্পের (West Bengal Government Scheme) মাধ্যমে প্রায় কয়েক লক্ষ রোগী চিকিৎসা করিয়ে তারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে।
Swasthya Sathi Scheme New Update In December 2023.
এবার Swasthya Sathi প্রকল্প থেকে রাজ্যের ১৪২টি বেসরকারি হাসপাতালকে বাদ দিল স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি, অনিয়মের কারণে তিনটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে সাসপেন্ডও করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়াও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলায়, চারটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখার ও কয়েকটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে Swasthya Sathi Scheme চুক্তির বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে Swasthya Sathi পশ্চিমবঙ্গের গরিব ও মধ্যবিত্তের অন্যতম ভরসার অবলম্বন হয়ে উঠেছে। এখন চিকিৎসার খরচ যেভাবে বাড়ছে তাতে বহু সাধারণ ও দরিদ্র মানুষ এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কল্যাণে সঠিকভাবে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে পারছেন। রাজ্য সরকারের এই কার্ডটি না থাকলে হয়ত বহু মানুষ সময়ে চিকিৎসা করাতে না পেরে অকালে প্রাণ হারাতেন।
কিন্তু এবার রাজ্যের ১৪২টি বেসরকারি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ দিল স্বাস্থ্য দপ্তর। মূলত রাজ্যের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের কথা ভেবে এমন একটি দুর্দান্ত প্রকল্পের অপব্যবহার করতে শুরু করেছেন রাজ্যের বেশ কিছু অসাধু হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মালিকরা। তার ফলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে Swasthya Sathi Scheme বন্ধ করা হয় না।
কিন্তু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্কিম গুলি মানে না অথবা অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছিল। তাই সেই সব বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এমন ১৪২টি বেসরকারি হাসপাতালের নাম স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর অনুযায়ী, এর মধ্যেই ৪টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।
তাই সংখ্যাটা বাড়তেও পারে, আবার কমতেও পারে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যাতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষ অগ্রাধিকার পায় তারজন্য বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথীর হেল্প ডেস্ক এবং সারপ্রাইজ ভিজিট ঠিকঠাক হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে পরিষেবা দিতেই বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। তাই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আয়তাভুক্ত ১৪২ টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের তরফে গৃহীত কড়া পদক্ষেপেটির প্রশংসা করছেন অনেকেই। আর এই ঘোষণার ফলে রুগীদের সুবিধা হবে এবং যেই সকল মানুষেরা মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তাদের খুবই অসুবিধা হবে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ। Written by Sampriti Bose.
দ্রুত টাকা বাড়াতে হলে এবং অবসর বয়সে নিশ্চিন্তে কাটাতে হলে এই নিয়মে