রাজ্যের সকল নাগরিকদের উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই Swasthya Sathi কার্ডের সূচনা করা হয়েছিল। ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন। এই কার্ডের মাধ্যমে পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসার জন্য খরচা দেওয়া হবে। একটি কার্ডেই পরিবারের সকলেই চিকিৎসার খরচ পাবেন।
Swasthya Sathi নিয়ে কিছু অজানা তথ্য।
বর্তমানে এক সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে Swasthya Sathi প্রকল্পে রাজ্যের ২ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পরিবারের সবচেয়ে বয়স জ্যেষ্ঠ মহিলার নামে এই কার্ড তৈরি করতে হবে, এই নিয়মটি বাধ্যতামূলক। রাজ্য ও ভিন রাজ্য মিলিয়ে ২,২০০ র বেশি হসপিটালে এই চিকিৎসা পরিষেবা আপনারা পাবেন। রাজ্যের ৯০% নাগরিক এই প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত।
Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নতুন নিয়ম ঘোষণা, অনিয়ম করলেই টাকা পাওয়া বন্ধ।
Swasthya Sathi প্রকল্পের অন্তরে ৩১ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই কার্ডের মাধ্যমে সকল জটিল রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে ও ক্যাশলেস পাওয়া সম্ভব। অনলাইনের মাধ্যমেও আপনারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও কিছু মাস অন্তর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প আয়োজন করা হয় সেখান থেকেও এর জন্য আবেদন করা যাবে।
Swasthya Sathi কার্ডের কিছু নতুন আপডেটঃ-
১) চিকিৎসার জন্য কোন ধরণের মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।
২) কিন্তু এর জন্য একটি শর্ত পালন করতে হবে সকলকে।
৩) NABH – National Accreditation Board For Hospitals এর অনুমোদিত ল্যাব থেকে টেস্ট করালেই এই সুযোগ পাওয়া যাবে।
৪) এখন থেকে সকল হৃদরোগ ও হাড়ের রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম কিনতে পারবে।
৫) এর আগে সকল প্রকার টেস্ট করানোর জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়া হত।
৬) বেসরকারি হাসপাতালে Swasthya Sathi কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো নিয়ে এর আগে অনেক অনিয়ম সামনে এসেছে।
রেশন তোলার নিয়মে বড় পরিবর্তন, আর লাগবে না আঙুলের ছাপ, বিশদে জানুন।
৭) এর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্য ও জেলা স্থরে দলের গঠন করা হয়েছে, যারা এই সকল অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করবে।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। এই ধরণের আরও খবর পেতে সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।