মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের (Madhyamik HS Exam) জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আর্জি জানালো শিক্ষক মহল। মূলত যে সকল পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার খাতায় ঘুষ হিসেবে টাকা দিয়ে শিক্ষককে তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় তাদের বিরুদ্ধেই এবার সরব হয়েছে শিক্ষক মহল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়েছে রাজ্যব্যাপী মাধ্যমিক পরীক্ষা। সম্ভবত এপ্রিলেই হবে ফলপ্রকাশ।
WBBSE WBCHSE Madhyamik HS Exam Funny Sheets News.
কিন্তু এই মুহূর্তে Madhyamik HS Exam খাতা দেখতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন পরীক্ষকেরা। দেখা যাচ্ছে কোনো ছাত্রছাত্রীর খাতায় বড় বড় করে পাস করানোর আর্জি জানিয়েছেন, আবার কেউ কিছু না লিখেই সাদা খাতা জমা করেছেন। আবার কেউ খাতার মধ্যে টাকা দিয়ে পাস করানোর আর্জি রেখেছেন। আর এই বিভিন্ন কারনেই ক্ষিপ্ত থেকে ক্ষিপ্ততর হয়ে উঠেছেন পরীক্ষকেরা।
শিক্ষক মহল সূত্রে খবর, শিক্ষক মহলের বেশ কিছু শিক্ষকের দাবি অতিমারীর পরবর্তীতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনীহার দরুন এই রকম ফল। দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনেই পঠন পাঠন ও মূল্যায়ন হওয়াতে পড়াশোনা নিয়ে বেশী বেগ পেতে হতো না ছাত্র ছাত্রীদের। কিন্তু অফলাইন পরীক্ষা (Madhyamik HS Exam) হওয়ায় পড়াশোনার বিষয়টি যেন এখন বেশ কিছুটা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে পরীক্ষার্থীদের কাছে।
এমনকি কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্নের উপর নকল বানানোর পর যদি তা কমন না আসে তাহলে অবান্তর উত্তরপত্রও জমা দিয়ে আসছে ছাত্র ছাত্রীরা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE HS Exam) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের বক্তব্য, সব মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ খাতা মূল্যায়ন হয়েছে। এর মধ্যে অবান্তর লেখা সহ খাতা ও তার সঙ্গে টাকা ঘুষ দেওয়ার মতো বহু অভিযোগ পরীক্ষক (Madhyamik HS Exam) মহল থেকে এসেছে।
তবে অবশ্যই এই Madhyamik HS Exam খাতা গুলি বাতিল ঘোষনা করা হবে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় একজন গনিতের শিক্ষক জানান, নির্ধারিত প্রশ্নের বাইরে অন্য উপাপাদ্য লিখে এসেছে একজন পরীক্ষার্থী। পাশাপাশি প্রশ্ন পত্রে কোনো প্রশ্ন কমন না পাওয়ায় সমস্ত উত্তর পত্র জুড়েই প্রশ্ন গুলি কপি করেছে আরেক পরীক্ষার্থী।
আর শিক্ষা ব্যবস্থায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানান, ক্রমশ শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। পড়াশুনার তুলনায় অন্য বিষয় বস্তু গুলিতে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে তারা। অন্য এক পরীক্ষকের দাবি, এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik HS Exam) খাতার মধ্যে লিখেছে এবারে যদি তাকে না পাস করানো হয় তবে বাড়ি থেকে তার বিয়ে দিয়ে দেবে।
পাশাপাশি আরও এক পরীক্ষার্থী লিখেছে তার বিশেষ সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করে যেন তার পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়, উত্তরপত্রের সঙ্গে ডিসএবিলিটির সার্টিফিকেট জুড়ে দিয়েছে। তবে, মাধ্যমিক HS পরীক্ষার (Madhyamik HS Exam) খাতায় পরীক্ষার্থীরা প্রায় প্রত্যেক বছরেই এরকম কাজ করে থাকে কিন্তু চলতি বছরে এই বিষয়টি যেন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে।
এপ্রিলেই 40 ডিগ্রি তাপমাত্রা পশ্চিমবঙ্গে! আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারি।
অনেক পরীক্ষকই মানবিকতার খাতিরে এই খুটিনাটি জিনিস গুলি পর্ষদকে জানান না। কিন্তু চলতি বছরে এই বিষয়টি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পর্ষদকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন পরীক্ষকরা। এরপরই পর্ষদ ও বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কোনো কিছুই আর বরদাস্ত করা হবে না। যে সকল খাতায় এই অবান্তর উত্তরপত্র (Madhyamik HS Exam Answer Sheet) পাওয়া যাবে তাদের খাতা বাতিল করা হবে। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে সহমত জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
Written by Sampriti Bose.
তীব্র গরমে আগামীকাল থেকে মর্নিং ক্লাস শুরু রাজ্যের স্কুলে। শিক্ষক ও পড়ুয়াদের কখন স্কুলে যেতে হবে?