ভোটার কার্ড দেশের নাগরিকদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। ভোট দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কাজকর্মের জন্য আইডেন্টিটি প্রুফ হিসেবে অনেকসময়ই ভোটার কার্ড কাজে লাগে। তাই ১৮ বছর হয়ে গেলে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের ভোটার কার্ড করে নেওয়া উচিত। আর এই ভোটার কার্ড বানানোর জন্যই আর লাইনে দাঁড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এর জন্য নতুন একটি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মাত্র ৫ মিনিটে নতুন ভোটার কার্ডের (Voter Card Apply 2022) জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন । আজকে এই পদ্ধতিটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কীভাবে ঘরে বসেই নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করবেন?
১. প্রথমে রাষ্ট্রীয় ভোটার সেবা পোর্টাল তথা NVSP (National Voters’ Services Portal) -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.nvsp.in -এ যাবেন।
২. এবার সেই পোর্টালটিকে ডেস্কটপ ভার্সনে খুলে নেবেন এবং তারপরে বাঁদিকের Login / Register -এই অপশনে ক্লিক করবেন।
৩. এবার যদি আগে এই ওয়েবসাইটে রেজিস্টার না করে থাকেন তাহলে Don’t have account. Register as a new user -এই লিংকে ক্লিক করে নিজের মোবাইল নম্বর, ক্যাপচা, ওটিপি নিজের নাম, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি সব তথ্য ফিল আপ করে রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন।
৪. রেজিস্টার করা হয়ে গেলে একটি পাসওয়ার্ড তৈরী করে নেবেন এবং আবার মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড লিখে Login অপশনে ক্লিক করবেন।
৫. এরপরে বাঁদিকে Register as a New Elector / Voter অপশনে ক্লিক করে Form 6 -এ ক্লিক করবেন।
৬. এবার উপরের দিকে নিজের রাজ্য, জেলা ও বিধানসভা (Assembly) সিলেক্ট করবেন।
৭. তারপরে Personal Details অপশনে নিজের নাম, পদবী, বাবা / মা / স্বামীর নাম, আপনার আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি ইত্যাদি সব তথ্য পূরণ করবেন।
৮. এবার নীচে নিজের জন্মতারিখ লিখে তার প্রমান হিসেবে নীচে দেওয়া নথিগুলোর (Documents) অপশনের মধ্যে যে কোনো একটি ডকুমেন্ট সিলেক্ট করবেন এবং তা আপলোড করে দেবেন। বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে আপনি জন্ম সার্টিফিকেট / আধার কার্ড / প্যান কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি যে কোনো একটি ডকুমেন্ট আপলোড করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ডকুমেন্টগুলো self-attested (নিজে স্বাক্ষর করে) করে আপলোড করবেন।
৯. এবার Present Ordinary Address -এ আপনার এলাকা, গ্রাম / শহর, পোস্ট অফিস, পিন কোড, জেলা, রাজ্য ইত্যাদি তথ্যগুলো ফিল আপ করবেন এবং ঠিকানার প্রমানপত্র (Address Proof) হিসেবে আধার কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / ইলেকট্রিক বিল (এক বছর একই ঠিকানায় থাকলে ) ইত্যাদি যেকোনো একটি নথি আপলোড করে দেবেন।
১০. এবার Upload Photograph অপশনে নিজের একটি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি আপলোড করে দেবেন।
১১. এরপরে আপনি যদি প্রতিবন্ধী হন তাহলে সে সংক্রান্ত কিছু তথ্য ফিল আপ করতে হবে। যদি আপনি প্রতিবন্ধী না হন তাহলে এই ঘরগুলো ফাঁকা রাখবেন।
১২. তারপরে আপনার পরিচিত একজন আত্মীয়ের (আপনার বাবা / মা / স্বামী ইত্যাদি) নাম, তাঁর সাথে আপনার সম্পর্ক, তাঁর ভোটার কার্ড নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করবেন।
১৩. এরপরে Declaration -এ I’m a citizen…. এই বাক্যটিতে টিক দিয়ে নিজের গ্রাম / শহরের নাম, রাজ্য, জেলা এবং তারিখ (যে তারিখে ফর্মটি ফিল আপ করছেন), স্থান ইত্যাদি সবকিছু ফিল আপ করবেন এবং তারপরে Preview & Submit অপশনে ক্লিক করবেন।
১৪. এবার আপনি এতক্ষন অবধি যা কিছু ফিল আপ করলেন তার একটি প্রিভিউ স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে Submit অপশনে ক্লিক করবেন।
তাহলে নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আপনার অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং স্ক্রিনে একটি রেফারেন্স নম্বর দেখা যাবে। এই নম্বরটি ভালো করে নোট করে নেবেন যা পরবর্তীতে স্ট্যাটাস চেকের জন্য কাজে লাগবে। আপনি চাইলে একই ওয়েবসাইট থেকে নিজের আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। আপনার আবেদন সাবমিট করার পরে তা সরকারি আধিকারিকদের দ্বারা যাচাই (Verify) করা হবে এবং তাঁরা সম্মতি দিলে আপনার ভোটার কার্ড তৈরী হয়ে যাবে এবং তা আপনার ঠিকানায় পোস্টঅফিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – Link
এই রকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।