Civic Volunteer – লটারি লাগলো সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। এক সাথে বেতন বৃদ্ধি, প্রমোশন ও গ্রেড বেড়ে গেল।

রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (WB Civic Volunteer) জন্য এসে গেল দারুণ সুখবর। এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেতন তো বাড়লোই, তার সাথে এক দারুন সুবিধা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। কর্মক্ষেত্রে বদলির সুবিধার পাশাপাশি কন্সটেবল পদে নিয়োগ করা হতে চলেছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য আবারও মমতাময়ী রাজ্য সরকার।

Good News For West Bengal Civic Volunteer.

২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের থানা গুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের (Civic Volunteer Recruitment) সংখ্যা বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের নিত্যনৈমিত্তিক কাজের একটা বড় অংশ এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা সামলান। যদিও তাঁদের বেতন অত্যন্ত কম। আর তাই ধাপে ধাপে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বোনাস দেওয়া, বেতন বাড়ানো, অবসর পরবর্তী সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মত একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal).

এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) জন্য আরও এক দুর্দান্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) মাসিক ভাতা ১০০০ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মাসিক বেতন বেড়ে হল ১০০০০ টাকা। বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির বাজারে এই অর্থ খুব কিছু নয়।

তবুও বেতন কিছুটা বাড়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি পাবেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer Salary Increase). পাশাপাশি অবসর পরবর্তী অর্থ দেওয়া এবং কর্মরত অবস্থায় কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হলে তার পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার মত সুবিধাও দিচ্ছে সরকার। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পক্ষ থেকে তাদের জন্য প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি রাখা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) জন্য আরও এক নতুন সুযোগ নিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখনও পর্যন্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিজের জেলাতেই নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য এসে গেল বদলির সুযোগ। প্রয়োজনে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিজের জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে দূরবর্তী অন্য কোনও জেলাতেও বদলি করা হবে।

তবে এই সুযোগ সকলে পাবেন না। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বদলির সুযোগ নির্দিষ্ট একটি কারণে নিয়ে আসার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে রাজ্যে যত সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মরত তার ৪০ শতাংশই মহিলা। তাঁদের অনেকের বিবাহের পর এক বিচিত্র সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় বাপের বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি আলাদা আলাদা জেলায়।

সেক্ষেত্রে চাকরি ধরে রাখতে অনেক সিভিক ভলেন্টিয়ারের ইচ্ছা থাকলেও শ্বশুরবাড়ি যেতে পারেন না। মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই সমস্যা দূর করতে এবার কেবলমাত্র তাঁদের জন্যই অন্য জেলায় বদলির সুযোগ নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সকল মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) এই সুযোগ পাবেন না। কেবলমাত্র বিবাহ পরবর্তী ক্ষেত্রে শ্বশুর বাড়ি অন্য জেলায় হলে তাঁরা সেখানে বদলির সুযোগ পেতে পারেন।

তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটি প্রস্তাবের আকারে সরকারের কাছে জমা পড়েছে, ছাড়পত্র এলেই তা নিয়মের আকারে চালু হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি সিভিক ভলেন্টিয়াররা কনস্টেবল (Civic Volunteer Constable) পদে নিযুক্ত হতে চলেছেন। সকলের কথা ভাবনা চিন্তা করে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন (Nabanna). জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের সংখ্যা অনেকটাই কম।

বেশিরভাগ থানায় রয়েছে ১৫ থেকে ২০ জন করে কনস্টেবল। এদিকে সামনেই রয়েছে লোকসভা ভোট। ফলে সবদিক ভাবনা চিন্তা করে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের জুনিয়র কনস্টেবল (Civic Volunteer Junior Constable) পদে নিয়োগের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার বলে খবর। ইতিমধ্যেই কিছু গাইড লাইন অবধি তৈরি হতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, এখন অনেকেই আছেন যারা শিক্ষিত।

Electricity Bill (ইলেকট্রিক বিল)

অথচ মনের মতো চাকরি না পেয়ে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic Volunteer) কাজকে বেছে নিচ্ছেন। তবে অনেকেই হয় বেতন নয়তো ভাতা নিয়ে খুশি নন। ফলে অনেকেই আছেন যারা কনস্টেবল পদে নিয়োগের দাবি তুলছেন। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারও উদ্যোগী। তবে সমস্যা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। প্রথমেই যে বিষয়টি উঠে আসছে সেটা হল বয়স। বেশিরভাগ সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) বয়স বর্তমানে ৩০ পার হয়েছে।

ভোটের আগে 40 কোটি জনগন টাকা পাবে। সরকারি ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেই আবেদন করুন।

দ্বিতীয়ত যেটা ব্যাপার হল উচ্চতা। সাধারণত কনস্টেবল হওয়ার জন্য যে উচ্চতার প্রয়োজন হয়, তা অধিকাংশের কাছেই নেই। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কী ভাবে তাঁদের নিয়োগ করা যায়, সেটা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এছাড়া কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ট্রেনিং জরুরি, সেটাও কিন্তু সিভিকদের (Civic Volunteer) ক্ষেত্রে থাকবে না। সেক্ষেত্রে তাহলে কীভাবে নিয়োগ হবে, উঠছে প্রশ্ন। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফে কি উদ্যোগ নেওয়া হয় সেটি এখন দেখার বিষয়।
Written by Sampriti Bose.

পশ্চিমবঙ্গে 1 লক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ। মাধ্যমিক পাশে আবেদন করুন।

Leave a Comment