নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের Ration Card গ্রাহকদের জন্য এলো বড়ো ধাক্কা। এবার এপ্রিল মাস থেকে বাংলার কোনো রেশন দোকানে মিলবে না পুষ্টিযুক্ত আটা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের (Department Of Food & Supplies) তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। রেশন ব্যবস্থা হল দেশের সাধারণ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কম খরচে খাদ্য সামগ্রী (Ration Card Items) পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে থাকে কেন্দ্র।
Ration Card Holders Does Not Get Flour.
মূলত করোনাকালীন সময় থেকে এই রেশন ব্যবস্থাতেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে (Free Ration) পাওয়া যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের স্বল্প মূল্যে অথবা বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে প্রতি মাসে। তবে, অনেক সময় রেশনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন গ্রাহকেরা (Ration Card).
তাই এবার রেশন ব্যবস্থা (Ration Card) কারচুপি রুখতে রাজ্য খাদ্য দপ্তরের তরফে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, রাজ্যের রেশন দোকান গুলিতে এখন পুষ্টিযুক্ত চাল সরবরাহ করা হয়। যেভাবে পুষ্টি মূল্য বাড়ানো হয় চালের ক্ষেত্রেও তাই করা হচ্ছে। আটার মতো চালেও ভিটামিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড প্রভৃতি যোগ করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো হচ্ছে। পুষ্টিযুক্ত চাল সাধারন মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে কারণ এতে চালের স্বাদ, গন্ধ প্রভৃতির কোনো পরিবর্তন হয় না।
এই পরিস্থিতিতে দুটিকে পুষ্টিযুক্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে খাদ্য দপ্তর (Ration Card). তবে যারা দুবেলা রুটি খান তারা এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। আবার, যারা ডায়াবেটিস বা সুগারের জন্য ভাত না খেয়ে দুই বেলায় রুটি খান। এই সিদ্ধান্তের ফলে তারাও পুষ্টি যুক্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০৪ সাল নাগাদ রেশনে গমের বদলে পুষ্টিযুক্ত আটা দেওয়া চালু করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে। রেশনের গম নথিভুক্ত ময়দা কল গুলিতে পাঠিয়ে সেখানে পুষ্টিযুক্ত আটা উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়। যদিও প্রথম থেকে আটা সরবরাহ নিয়ে আপত্তি ও বিতর্ক উঠেছিল। রেশন ডিলারদের একটি সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তা নিয়ে মামলাও করে। সেই মামলার জেরে বিধিবদ্ধ রেশন এলাকায় (Ration Card) গম দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
আটা দেওয়া হলে তা নিম্নমানের ও তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে এই আশঙ্কা করেছিলেন রেশন ডিলাররা (Ration Dealer). এখন শুধু জেলা শহর ও গ্রামে সংশোধিত রেশন এলাকার জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আয়তনে থাকা গ্রাহকরা আটা পান। রাজ্যে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে (Rajya Khadya Suraksha Yojana) গ্রাহকদের গত দেড় থেকে দুই বছর ধরে আটার বদলে চাল দেওয়া হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ওপেন সেল স্কিমে রাজ্য সরকার গুলিকে গম বিক্রি করছে না (Ration Card).
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি (Ration Card) ইডির অভিযানের পর গম ভাঙিয়ে আঠা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের মালিকাধীন কিছু ময়দা কলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই রেশনে দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করা হবে কিনা সে ব্যাপারে নবান্নে নির্দেশও চেয়েছে খাদ্য দপ্তর। রাজ্যে ভাত খাওয়ার মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও রুটি খাওয়ার মানুষের সংখ্যা কিন্তু খুব কম নয়। রেশনে পুরোপুরি আটা (Free Flour) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হলে তারা ক্ষুদ্র ও বঞ্চিত হবেন (Ration Card).
একাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আপনি পেয়েছেন কিনা দেখে নিন।
তাই অনেকের ধারণা, নবান্ন (Nabanna) হয়তো রেশনের দোকান থেকে পুরোপুরি আটা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দেবে না। এমতাবস্থায় নবান্নে তরফে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটিই এখন দেখার। Ration Card নিয়ে এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষের সমস্যা হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামী এপ্রিল মাস থেকে কি হতে চলেছে।
Written by Sampriti Bose.
প্রকাশ হলো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামের তালিকা! কে কে টাকা পাবে?