স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) থাকলেই বিনামূল্যে মিলবে ডায়ালিসিস চিকিৎসা, রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে এমনি নির্দেশ দিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এনে বাংলার লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার দুর্দান্ত এক সুযোগ করে দিয়েছে। কয়েক বছর আগেও যারা অসুখ হলে কীভাবে চিকিৎসা করবেন ভেবে পেতেন না।
Swasthya Sathi Card Holders Get 15 Thousand Rupees.
২০১৬ সালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আসার পর থেকে তাঁরাই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে দিব্যি সুস্থ হয়ে উঠছেন। সেই নজিরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার রাজ্যবাসীর জন্য আরও বড় এক সুযোগ নিয়ে এল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ঘোষণা করেছে, এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) দেখিয়ে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে ডায়ালিসিস রোগের চিকিৎসা।
মানুষের কিডনি যখন সঠিক ভাবে কাজ করে না তখন শরীরের দূষিত পদার্থ ও পরিশুদ্ধ রক্তকে পৃথক রাখার জন্য ডায়ালিসিসের দরকার পড়ে। অনেকের প্রায় প্রতিদিন ডায়ালিসিসের দরকার হয়। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিসের খরচ এক একবারে ৫,০০০ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের দরিদ্র এমনকি মধ্যবিত্ত মানুষদেরও অনেকের পক্ষে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ঠিকভাবে ডায়ালিসিস করা সম্ভব হয় না।
আর্থিক অভাবের (Swasthya Sathi) কারণে ডায়ালিসিস না করতে পারলে অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়।এদিকে প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চিকিৎসার খরচ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে (West Bengal) স্বস্তি দিতেই এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডায়ালিসিস করার সুযোগ নিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal).
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতোই সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চাহিদা সুস্বাস্থ্য। শরীর ভালো থাকলে, তবেই না এত জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জোর মিলবে। রাজ্যবাসীর সুস্বাস্থ্য গঠনে ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছিলেন৷ ইতি মধ্যেই ২.৪ কোটি মানুষ ইতি মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) সুবিধাভোগী।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষকে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হয়। প্রথম দিকে বেশ কিছু বাছ বিচার থাকলেও ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে ‘স্বাস্থ্য সাথী’কে অবাধ বলে ঘোষণা করেন।পশ্চিম বাংলার সকলেই এই কার্ডের সুবিধা পাবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) মাধ্যমে নির্দিষ্ট হারে সমস্ত সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে চিকিৎসা করা যায়।
তবে এই বিনামূল্যের ডায়ালিসিসের ক্ষেত্রে একটা নতুন নিয়ম প্রচলন করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (WB Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমানে ফ্রিতে ডায়ালিসিসের সুযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও আরও ৪৫ টি বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতালে পিপিপি মডেলে অনেক কম খরচে ডায়ালিসিস করানোর সুযোগ আছে।
এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) দেখিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডায়ালিসিস করাতে পারবেন রোগীরা। এছাড়াও আরো ২৪ টি জেলা ও মহাকুমাস্তরের হাসপাতলে এই বিনামূল্যের ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু হতে চলেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট ৭৬ টি সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) সাহায্যে বিনামূল্যে ডায়ালিসিস করাতে পারবেন রোগীরা।
কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিনামূল্যের ডায়ালাইসিস পরিষেবা চালু হতে চলেছে। এছাড়াও নতুন করে কালনা, ফালাকাটা, টিএল জয়সওয়াল, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন।নন্দীগ্রাম, ঘাটাল, খড়্গপুর, দিনহাটা, চাঁচল, সল্টলেক, হলদিয়া, ডোমকল, জঙ্গিপুর, শ্রীরামপুর, কালিম্পং, বনগাঁ, রঘুনাথপুর, ইসলামপুর, তেহট্ট, কান্দি, নয়াগ্রাম, বড়জোড়া ও কাকদ্বীপ হাসপাতালেও এই পরিষেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
Govt Employees – PF ও পেনশন একসাথে পাবেন না সরকারি কর্মীরা বড় ঘোষণা সরকারের।
স্বাভাবিকভাবে রাজ্য সরকারের এরূপ ঘোষণায় (Swasthya Sathi) খুশি হয়েছেন দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত সকল সাধারণ মানুষ। আর আপনারা সকলে এই চিকিৎসার জন্যই আপনারা এই ১৫ হাজার টাকা পাবেন। এমনিতে কাউকে হাতে টাকা দেওয়া হবে না। আর এই সুবিধা আপনারা স্বয়ংক্রিয় ভাবে পেয়ে যাবেন, এর জন্য কোন ধরণের আবেদন করতে হবে না।
Education Policy – রাজ্যের শিক্ষকদের গ্রামে বদলির নির্দেশ। অজুহাতে চাকরি বাতিল। শিক্ষকেরা