ফের টেট পরীক্ষা (Primary TET Exam) সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হলো কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt). ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় ১৫টি প্রশ্ন ভুল থাকায় প্রায় ৫০০ জন টেট পরীক্ষার্থী এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলার বিষয়ে সরব টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
Latest News On Primary TET Case Verdict On Court.
এরপর, ২০২২ সালে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই আদালতে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে একাধিক মামলা। শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও আন্দোলন চলছে। এরপর, চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিরাট মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোর্টের জটিলতা কাটলে ৭ দিনের মধ্যেই নিয়োগ (Primary TET) করে দেওয়া হবে।
একবার আদালত সবুজ সঙ্কেত দিলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। তবে এবার যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে চাকরি প্রার্থীদের দুশ্চিন্তা আরো বাড়লো বলা যায়। প্রায় ৫০০ জন টেট পরীক্ষার্থী কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার (Primary TET) ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। শুধু তাই নয় সেই পরীক্ষার বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল বলেও দাবি জানানো হয়।
সম্পূর্ণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) তরফ থেকে জবাব তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। মূলত টেট পরীক্ষার (TET Exam) প্রশ্ন নিয়ে অতীতেও একাধিকবার ‘প্রশ্ন’ উঠেছে। এই বিষয়টায় একেবারেই সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। এবার জাস্টিস মান্থা পরিষ্কার জানিয়েছেন, পর্ষদকে প্রশ্ন ভুলের স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে।
এই ধরণের ক্ষেত্রে কোন পরীক্ষার্থীরা নম্বর পাওয়া যোগ্য এবং কারা নম্বর পাওয়ার যোগ্য নন সেই বিষয়ে পর্ষদকেই নীতি নির্ধারণ করতে হবে। আর যদি পর্ষদ (WBBPE Primary TET Case) সেটা করতে না পারে, তাহলে আদালত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিচারপতি। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষাই শুধু নয়, এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছিল।
২০১৪ সালে প্রায় ২০ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। সেই বছর ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ নিয়ে ১৭৫ জন মামলা করেছিলেন। পরবর্তীকালে আরও বেশ কয়েকজন তাতে যোগ দেন। ২০১৮ সালে এই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ৬ বছর। কিন্তু এতদিনেও সমস্যার সমাধান হয়নি (WB Primary TET).
পশ্চিমবঙ্গে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি। মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা। খুশিতে আত্মহারা সকলে।
এবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই ধরণের ক্ষেত্রে পর্ষদকেই একটি নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি পর্ষদের থেকে জবাবও তলব করেছে হাইকোর্ট (Primary TET Case On Highcourt). এমতাবস্থায়, লোকসভা ভোটের আগেই আইনি জটিলতা কাটিয়ে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET Recruitment) শুরু হয় কিনা সে বিষয়টিই এখন দেখার।
Written by Sampriti Bose.