পুজোর মাস অক্টোবরের শুরু থেকেই একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের (Weather Forecast) জেরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার কথা জানালেন আবহাওয়াবিদরা। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়ে চলেছে কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। শুধু কলকাতা নয় মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার জেরে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কিন্তু এই বৃষ্টিপাতের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের শুরুতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
Weather Forecast In West Bengal.
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর এবং সন্নিহিত এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Forecast) সৃষ্টি হতে চলেছে। যার ফলে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই এলাকায় গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই নিম্নচাপের অভিমুখ হতে পারে পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে।
ঠিক এই গভীর নিম্নচাপের কারণেই অক্টোবর মাসের শুরুতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় নাও হয় সেক্ষেত্রে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে নিম্নচাপের কারণে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি দেখে এই ঘূর্ণিঝড়ের (Weather Forecast) সম্ভাবনার সত্যতা বোঝা যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও অন্যান্য জেলায় চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Forecast) থাকলেও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নেই। অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলতি সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সপ্তাহের শেষ তিন দিনে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সর্বোপরি, কলকাতা এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার পর্যন্ত। প্রতি সপ্তাহের শেষের দিকে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে এরই মাঝে স্বস্তির খবর, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস (Weather Forecast) অনুসারে, আগামী ১৫ অক্টোবর অর্থাৎ মহালয়ার পরদিন থেকে ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্যে রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে পশ্চিমা শুষ্ক বাতাস ও সামুদ্রিক আর্দ্র বাতাসের সংঘর্ষে সৃষ্ট মেঘ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। যার জেরে সাময়িক বাধা পেতে পারে দুর্গাপুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে পুজোর সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির তোমন কোনও পূর্বাভাস (Weather Forecast) নেই।
মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ায় ক্রমশ বাড়বে পশ্চিমী হাওয়ার প্রভাব। পশ্চিমি শুষ্ক বাতাসের প্রভাব বাড়ায় কমবে রাতের তাপমাত্রা। ফলে, রেহাই পাওয়া যাবে ঘাম থেকে এবং প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখে বেড়ানোর আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন। কিন্তু গোটা বিষয়টাই নির্ভর করছে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহারের ওপর। সোমবার থেকে দেশে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার (Weather Forecast) শুরু হওয়ার কথা।
Gold Price – সোনার ও রুপোর দাম ফের কমলো, দাম বৃদ্ধির আগে গয়না তৈরির অর্ডার দিন।
তাই সবমিলিয়ে অক্টোবরের শুরুতে বৃষ্টি হলেও পুজোর মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা (Weather Forecast) খুব বেশি না থাকায় স্বস্তি পাচ্ছে আপামর বাঙ্গালীরা। আর আমরা সকলেই মায়ের কাছে প্রার্থনা করব যাতে রাজ্যে কোন রকমের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব না হয় এবং সকলে মিলে একই সাথে নিজেদের প্রাণের উৎসব উপভোগ করতে পারি।
Teacher Recruitment – পশ্চিমবঙ্গে এক ধাক্কায় 80 হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। সবার আগে নিয়ম