বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারির একের পর এক ঢেউয়ে নাজেহাল সমগ্র বিশ্ববাসী। আর এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি ভারতের ক্ষেত্রেও। করোনার এই একের পর এক ঢেউয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে করোনার এক একটি নতুন প্রজাতিকে। ওমিক্রণের এই নতুন উপপ্রজাতি BA.2.75 আর করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও (Covid-19 Fourth Wave)। রাজ্যেজুড়ে রীতিমতো আড়াই হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে করোনায়। শুধুমাত্র কলকাতাতেই এক দিনে সংক্রমিত হয়েছে ৭৪৩ জন। বেশ কিছুদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা বাড়ছিল করোনার চতুর্থ ওয়েভ নিয়ে। আর এবার সেই সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলো যে, পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই করোনার চতুর্থ ওয়েভ চলে এসেছে।
প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড সিমের মধ্যে পার্থক্য আপনি জানেন কি? না জানলে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিন দিন করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। আর এই ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী মহলের আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ইতিমধ্যেই চতুর্থ ঢেউয়ের সংবাদের কারণে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে প্রশাসনিক মহল। ওমিক্রণের নতুন প্রজাতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রস্তরের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষকে নিয়ে সার্ভে করা হয়েছিল। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে থেকে ৫৬৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৪টি নমুনাকে বাতিল করা হয়েছে। এই ৫৬০ টি নমুনার মধ্যে ৬৫ শতাংশের ক্ষেত্রে ওমিক্রণ ভাইরাস কিংবা ওমিক্রণের নতুন একটি উপপ্রজাতি BA.2.75 কে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকমহলের প্রদান উদ্বেগের কারণ হয়ে দঁড়িয়েছে বাকি ৩৬ শতাংশের সংক্রমণের কারণ যে প্রজাতিটি। এই নতুন প্রজাতিটিকে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা এই প্রজাতিটি সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি আর এই অজানা প্রজাতিই বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। অনেকক্ষেত্রে এই অজানা প্রজাতি দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। ফলত এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের অজান্তেই এই ভাইরাসের বাহক হয়ে উঠছেন।
অন্যদিকে, চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে করোনার পাশাপাশি করোনা পরবর্তী উপসর্গ বা পোস্ট কোভিড সিনড্রোমগুলিও স্বাস্থ্যদপ্তরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অসুস্থতা ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও কোভিডের পর প্রায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত নানারকম অসুস্থতার স্বীকার হচ্ছেন আক্রান্তরা। শ্বাসকষ্ট তো থাকছেই, এর সঙ্গে অনেকেরই হৃদরোগের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে।
আবেদন করুন রোলস-রয়েস উন্নতি স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান এককালীন ৩৫,০০০ টাকার অনুদান
করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়লেও এখনো পর্যন্ত কোনরূপ লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে। যদিও করোনার চতুর্থ ঢেউ এবং ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে রাজ্যবাসীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনা বিধি মেনে চলার জন্য এবং মাস্ক ব্যবহার করার জন্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের জানিয়েছেন যে, এখনো পর্যন্ত স্কুল বন্ধ করা নিয়ে কোনরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও সমস্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক পরতে এবং করোনা বিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যদিও যেসকল স্কুলে বা কলেজে একাধিক ছাত্রছাত্রী একসাথে সংক্রমিত হয়েছেন সে সমস্ত স্কুলগুলিকে বন্ধই রাখা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে এখনই কোন লকডাউন কিংবা স্কুল বন্ধ হবে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারেই পরবর্তীতে কি করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।
এইরকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের আইকনে ক্লিক করে আজই যুক্ত হোন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে।