Karma Tirtha Prakalpa: নিজের ব্যবসার জন্য দোকান ঘর চান? তবে আর চিন্তা নেই টাকা দেবে সরকার

আপনি কী নিজের ব্যবসা চালানোর জন্য কোনো দোকান বা অফিসঘর খুলতে চাইছেন? তাহলে আপনার জন্য সুখবর রয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কর্মতীর্থ নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দোকানঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন রকম শিল্প ও ব্যবসা বিষয়ক উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে এবং রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে প্রত্যেক ব্লকে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha Prakalpa) নামক বড়ো বড়ো বিল্ডিংগুলোকে এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে সেটি গ্রামীণ বাংলার সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিণত হতে পারে। আর এখানেই এবার থেকে বিনামূল্যে দোকান দেওয়ার সুযোগ মিলবে। আপনি নিজের সুবিধামতো নিজের এলাকাতেই দোকান দেওয়ার জন্য এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

কর্মতীর্থ প্রকল্পের ঘরগুলোতে কীরকম কাজ / ব্যবসা করতে পারবেন?

১. ক্ষুদ্র ও ছোটো ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী রেডিমেড নানারকম পোশাক নির্মাতা (ব্যক্তি / ক্লাস্টার) ইত্যাদি অনেকে বিনামূল্যে এই ঘর নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
২. বিভিন্ন সমবায় অথবা শিল্প সমবায় সমিতি, গ্রামীণ কোনো সংস্থা প্রভৃতি কেউ নিজেদের অফিসরুম হিসেবে কর্মতীর্থের ঘরের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, কোনোরকম বিস্ফোরক বা দাহ্য বস্তু কর্মতীর্থের ঘরগুলোতে রাখা যাবে না।

কর্মতীর্থ প্রকল্পে আবেদন করতে কী কী লাগবে?

১. সচিত্র পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড / ভোটার কার্ড / প্যান কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট ইত্যাদির মধ্যে যেকোনো একটি
২. জাতিগত শংসাপত্র (Caste Certificate) (SC / ST) [ যদি থাকে ]

ঘরে বসে নিজের মোবাইলের মাধ্যমে মাত্র দশ মিনিটে বানিয়ে ফেলুন BDO ইনকাম সার্টিফিকেট, কিকরে বানাবেন জেনে নিন

কীভাবে কর্মতীর্থ প্রকল্পে আবেদন করবেন?

কর্মতীর্থ প্রকল্পের জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই আবেদন করা যায়।

১. অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে কর্মতীর্থ প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে হবে।
২. অফলাইনে আবেদন করতে চাইলে নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে কর্মতীর্থ প্রকল্পের আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে নেবেন। তারপরে সেটি প্রিন্ট আউট করে নিয়ে উক্ত ফর্মটি ভালো করে ফিল আপ করবেন এবং তার সাথে উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো অ্যাটাচ করে বিডিও অফিসে গিয়ে জমা করবেন।

ফর্ম Link

আপনি কর্মতীর্থের স্টল দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হলে আপনার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হবে। আপননি চাইলে আপনার নিজের এলাকায় কর্মতীর্থের কতগুলো দোকানঘর ফাঁকা রয়েছে তাও জেনে নিতে পারবেন। এর জন্য ওয়েবসাইটে নিজের জেলা ও ব্লকের নাম এবং তার পাশে কতগুলি ফাঁকা স্টল রয়েছে তা চেক করে নেবেন।

সরকারি প্রকল্প সম্পর্কিত এই রকম আরও নানান গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নীচের ডানদিকের টেলিগ্রাম আইকনে ক্লিক করে আজই জয়েন হন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে

Leave a Comment